সংস্কারের শতভাগ সুফল পাচ্ছে না পোশাক খাত

 প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০১৯

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পরিবেশসম্মত কারখানা নির্মাণ এবং ভালো মানের পোশাক উৎপাদনে অনেক এগিয়েছে দেশ। তবে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারে শতভাগ সুফল পাচ্ছে না পোশাক খাত। কারণ হিসেবে উদ্যোক্তাদের নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতাকে দায়ী করেছেন তিনি। এ ছাড়া পোশাকের দরকষাকষিতে দুর্বলতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার ‘পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়ন :সমস্যা এবং সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এর আয়োজন করা হয়। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউঅ্যাবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এসআরইডিএ) চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন এতে সভাপতিত্ব করেন। বস্ত্র ও পোশাক উৎপাদনে পরিবেশসম্মত প্রযুক্তি এবং মেশিনারিজের প্রদর্শনী ‘গ্রিনটেক্স ইনোভেশন’ উপলক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিন দিনের এ প্রদর্শনী গতকাল শুরু হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনা তৈরি পোশাক খাতকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ দেখিয়েছে। দেশে এখন অনেক অত্যাধুনিক পোশাক কারখানা আছে। তৈরি পোশাকশিল্প এখন অনেক শক্তিশালী। তবে ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনায় দুর্বলতা আছে। উপযুক্ত মূল্য আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে প্রতিযোগী দেশগুলো এগিয়ে আছে। এ বিষয়ে সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, সবুজ কারখানায় বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই বিনিয়োগের অর্থ বেশি দামের পণ্য বিক্রির মাধ্যমে ফেরত পাওয়ার আশা থাকে উদ্যোক্তাদের। তবে ক্রেতারা মূল্যছাড়ের দোকানেই বেশি ভিড় করেন। বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক বলেন, পরিবেশসম্মত কারখানার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদনে পানি ও জ্বালানির ব্যবহার কমেছে। এ ধরনের কারখানা নির্মাণে সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা থাকলে অনেক উদ্যোক্তা আগ্রহী হবেন। বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পরিবেশসম্মত উৎপাদন এবং উৎপাদন ব্যয় কমানোর মাধ্যমে প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন। ১৫ বিদেশি প্রতিষ্ঠানসহ ৮৭টি প্রতিষ্ঠান এতে পণ্য প্রদর্শন করছে। এসআরইডিএ ১০ বছর ধরে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে।