রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের বেতন ঋণ আবেদনের সময় বাড়ল ২ মে পর্যন্ত


২৮ এপ্রিল ২০২০, ১৯:৪০

করোনাভাইরাসের কারণে রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন দিতে ঋণ আবেদনের সময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন এ তহবিল থেকে ঋণের জন্য আবেদন করা যাবে আগামী ২ মে পর্যন্ত। এর আগে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদনের শেষ সময় ছিল। তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ বিভিন্ন শিল্প-বাণিজ্য সংগঠনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময় বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন দিতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করে সরকার। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

এ ছাড়া এই তহবিল থেকে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড), অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইজেড) এবং হাইটেক পার্কের টাইপ-বি (দেশি-বিদেশি যৌথ মালিকানাধীন) শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগে শুধু দেশীয় মালিকদের জন্য এ সুবিধা ছিল।

দেশের সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার এ মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে আলোচ্য আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড), অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইজেড) এবং হাইটেক পার্কের টাইপ-বি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান করা যাবে।

বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বকারী বাণিজ্য সংগঠনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে, সচল রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য ঋণ আবেদনের সময় ২ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। ২ মে পর্যন্ত প্রাপ্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক তাদের ঋণের চাহিদা বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ মের মধ্যে পাঠাবে।

রপ্তানিমুখী কারখানার শ্রমিকদের মজুরি দিতে ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিলের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ২ এপ্রিল একটি নীতিমালা জারি করেছে। শর্ত অনুযায়ী, কমপক্ষে ৮০ শতাংশ রপ্তানি হয়, এমন কারখানা সচল হিসেবে চিহ্নিত হবে। বিনা সুদে এ তহবিল থেকে ঋণ পাবে তারা। তবে ২ শতাংশ মাশুল নিতে পারবে ব্যাংক।

যেসব কারখানা গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন দিয়েছে, তারাই বিবেচিত হবে সচল প্রতিষ্ঠান হিসেবে। ঋণ পেতে পাশাপাশি ওই তিন মাসের রপ্তানি কার্যক্রমও থাকতে হবে তাদের।