ইত্তেফাক রিপোর্ট ০০:০০, ০৩ মে, ২০১৯
নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন প্রণয়ের দাবি জানিয়েছে ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিল্স। একইসঙ্গে তারা গৃহশ্রমিকের জন্য আট ঘণ্টা কাজ, বিশ্রাম ও ছুটি নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছে।
বুধবার মহান মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর পল্টন মোড়ে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশ থেকে তারা এসব দাবি জানান। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিল্স ও এর সহযোগী বিভিন্ন সংগঠন ও নেটওয়ার্ক এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫ বাস্তবায়নের মাধ্যমে গৃহশ্রমিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণ সর্বোপরি তাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি। তারা বলেন, নির্যাতন-সহিংসতা বন্ধ করে ন্যায্য মজুরি, ক্ষতিপূরণ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ‘গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি’কে আইনে পরিণত করতে হবে।
গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক এর উদ্যোগে ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হও’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে তারা সমাবেশে অংশ নেয়। এ ছাড়া বিল্স ও কেয়ার বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে পল্টন মোড়ে গৃহশ্রমিকদের মানববন্ধন ও র্যালির আয়োজন করে। পাশাপাশি বিল্স এফএনভি প্রকল্পের নারায়ণগঞ্জ ক্লাস্টারের উদ্যোগে নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন প্রণয়ের দাবিতে মানববন্ধন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া বিল্স এর উদ্যোগে মুক্তাঙ্গনে একটি অস্থায়ী তথ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। তথ্য কেন্দ্র থেকে শ্রমিক অধিকার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রকাশনা বিতরণ করা হয়। অন্যদিকে মানিকগঞ্জের জয়রা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিল্স এর উদ্যোগে অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবিতে র্যালির আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিল্স এফএনভি প্রকল্পের সাভার ক্লাস্টারের উদ্যোগে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানববন্ধন এবং র্যালির আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচিতে বিল্স এর উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মেসবাহউদ্দীন আহমেদ, শাহ মো. আবু জাফর, নইমুল আহসান জুয়েল, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাকিল আক্তার চৌধুরী, পুলক রঞ্জন ধর ও আব্দুল ওয়াহেদ, গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা আবুল হোসাইন, বাংলাদেশ মেটাল, কেমিক্যাল, গার্মেন্টস ও দর্জি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শহীদুল্লাহ বাদল, বিল্স এর কর্মসূচি পরিচালক কোহিনূর মাহমুদ ও নাজমা ইয়াসমিন সহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগঠিত দুই শতাধিক গৃহশ্রমিকসহ বিল্স ও এর নেটওয়ার্কভুক্ত জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, গবেষক উপস্থিত ছিলেন।