আইএলও কনভেনশন-১ অনুস্বাক্ষর, সাংবিধানিক স্বীকৃতি এবং শ্রম আইনে উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে আট কর্মঘণ্টার বিষয়টি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিক নেতারা। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলসের উদ্যোগে ‘‘মহান মে দিবসের চেতনা, আইএলও কনভেনশন-১ এর শতবর্ষ পূর্তি এবং বাংলাদেশে কর্মঘণ্টার বর্তমান পরিস্থিতি” বিষয়ক এক সেমিনারে এ তথ্য দেয়া হয়।
শনিবার (০৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন কনফারেন্স হলে এ সেমিনারে বিলসের ভাইস চেয়ারম্যান এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুমের সভাপতিত্ব করেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহা-পরিদর্শক শিবনাথ রায়। অন্যদের মধ্যে ছিলেন- শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) সমন্বয়কারী মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, বিলসের উপদেষ্টা সদস্য শহীদুল্লাহ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, বিলসের মহাসচিব নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বিলসের সম্পাদক রওশন জাহান সাথী, এনসিসিডব্লিউই সদস্য সচিব নইমুল আহসান জুয়েল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এ্যাড. একেএম নাসিম প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কনভেনশন অনুস্বাক্ষর, সাংবিধানিক স্বীকৃতি এবং শ্রম আইনে উল্লেখ থাকলেও বাস্তব অর্থে আট কর্মঘণ্টার বিষয়টি মানা হচ্ছে না। প্রাতিষ্ঠানিকের চেয়ে অপ্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্র আরও বেশি অরক্ষিত। শ্রমশক্তি জরিপে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার বিষয়টি পরিলক্ষিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে বাস্তবে এটি আরও বেশি হতে পারে বলে তারা মন্তব্য করেন। তৈরি পোশাক খাতে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার বিষয়টি উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, অতিরিক্তি সময়ের কাজের চাপে শ্রমিকরা দৈহিক, মানসিক, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
তারা বলেন, জীবন ধারণের উপযোগী মজুরি না পেয়ে শ্রমিকরা অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য হয়। কর্মঘণ্টা, বিশ্রাম ও ছুটির বিষয়টি লংঘনের ক্ষেত্রে শাস্তির বিষয়টি অপ্রতুল উল্লেখ করে তারা সকল কর্মক্ষেত্রে আট কর্মঘণ্টা, বিশ্রাম, ছুটি ও বাঁচার মতো মজুরি নিশ্চিত করার দাবি জানান।