নিজস্ব প্রতিবেদক ১৭ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০
বাংলাদেশের স্থানীয় আইনের আওতায় পোশাক খাতের সংস্কারকাজের তদারকি হবে বলে একমত হয়েছে সংস্কার তদারকিতে নুতন প্ল্যাটফর্ম আরএমজি সাসটেইনেবল কাউন্সিলের (আরএসসি) এবং ইউরোপের ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড এবং পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। গত বুধবার দুই পক্ষের এক যৌথ বিবৃতির কথা জানানো হয়েছে অ্যাকর্ডের পক্ষ থেকে। গত সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। পোশাক খাতের সংস্কার নীতিমালার কথা শ্রম আইনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কারখানা ভবনের কাঠামোসংক্রান্ত বিধি-বিধান আছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডে (বিএনবিসি)। উভয় পক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অ্যাকর্ডের লিখিত বিভিন্ন পরামর্শ এবং এসংক্রান্ত নীতিমালা আরএসসিকে স্থানান্তর করা হবে। দুই পক্ষ সংস্কার তদারকিতে সব ধরনের স্বচ্ছতার বিষয়টি মেনে চলবে। কারখানা পরিদর্শনের ফলাফল প্রকাশ করা হবে সবার জন্য। অ্যাকর্ডের অধীন থাকা কারখানাগুলোর সংস্কারকাজ আরএসসির অধীন চলমান থাকবে। সব ধরনের স্বাধীনতাসহ আরএসসি প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে এবং তিনি স্বাধীনভাবে তাঁর কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। কারখানা মালিক, ব্র্যান্ড ও শ্রমিক প্রতিনিধির সমানসংখ্যক প্রতিনিধি থাকবেন আরএসসিতে। ২০১৩ সালে সাভারে রানা প্লাজা ধসের পরিপ্রেক্ষিতে এ দেশের পোশাক কারখানার সংস্কার তদারক শুরু করে ক্রেতারা। ইউরোপের অ্যাকর্ড ও আমেরিকার অ্যালায়েন্স পাঁচ বছর মেয়াদ শেষে বর্ধিত মেয়াদে তাদের কার্যক্রম শেষ করেছে। তবে অতিরিক্ত আরো এক বছর সময় নিয়েছে অ্যাকর্ড। অ্যাকর্ড এবং অন্যান্য ক্রেতা প্রতিনিধি, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ প্রতিনিধিদের নিয়ে আরএসসি গঠনপ্রক্রিয়া চলছে।