| ০০:০০:০০ মিনিট, জুলাই ২০, ২০১৯
বিনা মূল্যে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল ও পোশাক শ্রমিকের জন্য রেশনিং ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইবিসি)। ঘোষিত বাজেটের প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গতকাল এসব দাবি জানিয়েছে শ্রমিক সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে আইবিসি জানানো পাঁচ দফা দাবির মধ্যে আছে শিল্পঘন সাভার-আশুলিয়া, বৃহত্তর গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে শ্রমিকদের বিনা মূল্যে চিকিৎসার জন্য পাঁচটি হাসপাতাল নির্মাণ; পোশাক শিল্পের সব শ্রমিকের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে বাজেটে বরাদ্দ রাখা; পোশাক শিল্পসহ সব শ্রমিকের জন্য বাসস্থান তৈরি করে আবাসন সমস্যা সমাধানে বাজেটে বরাদ্দ রাখা; পোশাক শিল্পসহ সব শ্রমিকের ছেলে-মেয়েদের বিনা মূল্যে পড়ালেখার জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা এবং পোশাক শিল্পের নারী শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য বিনা মূল্যে পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা।
দাবির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ২৪ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে আইবিসি। তারা বলেছে, এ সময়ের মধ্যে সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ২৬ জুন বুধবার বেলা ১১টায় আইবিসি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জমায়েত শেষে জাতীয় সংসদ অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করবে। সেখানে আইবিসি নেতারা এবং অন্যান্য শ্রমিক নেতা যৌথভাবে জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে পাঁচ দফা প্রস্তাবনা পেশ করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইবিসির চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল হক আমিন, কেন্দ্রীয় নেতা মো. তৌহিদুর রহমান, কুতুব উদ্দিন আহমেদ, বাবুল আক্তার, জেডএম কামরুল আনাম, নুরুল ইসলাম, সহিদুল্যা বাদল, রাশেদুল আলম রাজু, চায়না রহমান, কামরুল হাসান, সাফিয়া পারভিন, খাদিজা আক্তার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ১৯৭৩ সালে তত্কালীন আওয়ামী লীগ সরকারের জাতীয় বাজেট ছিল ৭৬০ কোটি টাকা, তার পরও শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা ছিল, বড় শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের জন্য আবাসন বা কলোনির ব্যবস্থা ছিল, ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত এ ব্যবস্থা চালু ছিল। ৭৬০ কোটি টাকার বাজেট ৬৬৬ গুণ আকার বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা হয়েছে, তার পরও শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থাসহ শ্রমিকদের মৌলিক সমস্যা সমাধানে কোনো ধরনের বরাদ্দ না থাকায়, আমরা শ্রমিক সমাজ আজ হতাশ হয়েছি।
এ বাজেটে মালিকদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা দেয়া হলেও শ্রমিকদের জন্য কিছুই নেই এমন মত পোষণ করে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাজেটে পোশাক রফতানিতে এ শিল্পের মালিকদের জন্য অতিরিক্ত ১ শতাংশ নগদ সহায়তা ঘোষণা করা হয়েছে, এজন্য বাজেটে অতিরিক্ত ২ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর আগে মজুরি বৃদ্ধির সময়ও পোশাক শিল্পের মালিকরা ব্যাংক সুদ কমানোসহ নানা সুযোগ-সুবিধা সরকারের থেকে গ্রহণ করেছেন। আমরা এর বিরোধিতা করছি না কিন্তু শ্রমিকদের বেলায় এর ছিটেফোঁটাও থাকছে না কেন। আমরা মনে করি, শ্রমিকদের মৌলিক চাহিদা পূরণের দাবির প্রতি যদি বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর আন্তরিক সমর্থন থাকে, তাহলে সরকার শ্রমিকদের এভাবে উপেক্ষা করতে পারত না।