প্রকাশের সময় : July 18, 2020, 6:56 pm
শরীফ শাওন : গত বছর তৈরি পোশাক রপ্তানি খাতে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য রপ্তানি হয়। মোট রপ্তানির ১১ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার মূল্যে পণ্য রপ্তানি করে বড় ৩৫৪টি পোশাক কারখানা। বাদবাকি ১৫৭২টি কারখানা সব মিলিয়ে রপ্তানি করে অবশিষ্ট ২২ থেকে ২৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক পণ্য।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্দ্যোক্তারা জানান, কারখানাগুলোতে ৪০০ থেকে ১৭০০ শ্রমিক কাজ করেন। অধিকাংশ কারখানাই ৫ থেকে ২৫ মিলিয়ন ডলারের পোশাক পণ্য রপ্তানি করে থাকেন। কারখানা, শ্রমিক ও সার্বিক খরচ শেষে মোটামুটি লাভের মুখ দেখা যায়। তবে মহামারিতে কার্যাদেশ ৫০ শতাংশ কমে যায়। কার্যাদেশ না থাকা, ব্যাংক ঋণে জটিলতা ও দীর্ঘমেয়াদি ডেলিভারির লোকসান গুনতে গিয়ে অধিকাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানা এখন বন্ধের মুখে।
বিজিএমইএর সহসভাপতি মশিউল আলম সজল বলেন, ক্রেতারা পুনরায় কাজ দিলেও তা আগের তুলনায় নগণ্য। কার্যাদেশের হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। এতে বড় কারখানাগুলো টিকে থাকলেও এ কার্যাদেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি মানের কারখানা বিলিন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, মহামারির মধ্যে প্রায় ৩৫টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। স্বল্প কার্যাদেশ নিয়েও বাকি কারখানাগুলো টিকে রয়েছে সরকারের ঋণ প্রদানের সিদ্ধান্তে। শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখতে আগামী ৩ মাসের জন্য ৭ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা ঋণ চাওয়া হয়েছে।