কারখানায় শোভন পরিবেশ নিশ্চিতের পরামর্শ

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০১৯

বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশ কর্মসূচিতে গত পাঁচ বছরে দেশের ২৩০টি পোশাক কারখানার ৫ লাখ ৩০ হাজার কর্মী সম্পৃক্ত হয়েছে। এসব কারখানার সঙ্গে ২৫টি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড কাজ করছে।

সম্প্রতি ঢাকায় আইএলও গ্লোবাল বিজনেস ফোরামের বাংলাদেশ বিষয়ক বার্ষিক সভায় বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রোগ্রাম ম্যানেজার অ্যানি লোবে হেনরি এ তথ্য দেন। বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশ (বিডব্লিউবি) হচ্ছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে পরিচালিত একটি কর্মসূচি। টেকসই পরিবর্তনের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ। গত বছর ৩৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক পণ্য রফতানি করে চীনের পরই অবস্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। সাড়ে চার হাজার কারখানা পোশাক রফতানি করছে, যেখানে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক কাজ করছেন।

আইএলও বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্মেলনে শ্রমবাজারে সুশাসন সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে। বক্তারা বলেছেন, সুশাসন নিশ্চিত করা হলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে। এ জন্য কার্যকর সামাজিক সংলাপ দরকার। এতে শিল্প কারখানার শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন হবে বলে বক্তারা মনে করেন।

আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টোমো পৌশিয়ানেন সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেন, বেটার ওয়ার্ক কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু এই উন্নয়ন টেকসই হবে কি-না তা নির্ভর করছে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনগত কাঠামো এবং দক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশকে কতটা সহায়তা করা যাবে তার ওপর।

আইএফসির কান্ট্রি ডিরেক্টর উইন্ডি ওয়ার্নার বলেন, আইএফসি ও আইএলও যৌথভাবে বেটার ওয়ার্ক কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি অ্যান্ড রিটার্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কারখানাগুলোতে লিঙ্গবৈষম্য দূর করা হচ্ছে।

পাশাপাশি নারী কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুপারভাইজরি এবং লাইন লেভেল উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির যোগ্য করা হচ্ছে।

ঢাকাস্থ অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট বলেন, স্থানীয় পোশাক কারখানার সক্ষমতা বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ২০২১ সালের মধ্যে এই কর্মসূচি ৪০০ কারখানায় সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।