আরো ২৮১ দিন সময় পেল অ্যাকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ মে, ২০১৯ ২২:৪৪

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানায় কর্ম পরিবেশ উন্নয়নে তদারকির কার্যক্রম পরিচালনা করতে ইউরোপীয় ক্রেতাদের কারখানা পরিদর্শন জোট অ্যাকর্ড আরো ২৮১ দিন সময় পেয়েছে। একইসঙ্গে অ্যাকর্ড ও বিজিএমইএ’র মধ্যে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারক অনুসারে সকল দায়িত্ব বিজিএমইএ’র কাছে হস্তান্তর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ আজ রবিবার এক আদেশে অ্যাকর্ডকে এই সময় দিয়েছেন। অ্যাকর্ডের করা এক সময় আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেওয়া হয়। আদেশ অনুযায়ী গত ৮ মে থেকে এই ২৮১ দিন গণনা শুরু হয়েছে। অ্যাকর্ডের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন কে এস সালাউদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও বিজিএমইএ’র পক্ষে ছিলেন ব্যারিষ্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম।

আদেশে বলা হয়েছে, অ্যাকর্ডের মধ্যে বিজিএমইএ’র একটি সেল গঠন করতে হবে এবং অ্যাকর্ড ও বিজিএমইএ যৌথভাবে কারখানা পরিদর্শন ও এর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশি কারখানা পরিদর্শনে ইউরোপীয় ২২৮টি ক্রেতার সমন্বয়ে গঠিত জোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ কাজ করছে। এসব ক্রেতা ও ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করে- এমন এক হাজার ৬০০ কারখানা ভবনের কাঠামো, অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনসহ সংস্কার কাজ তদারক করছে অ্যাকর্ড।

২০১৮ সালের জুনের পর তাদের কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা। এর মধ্যে ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে তারা বিজিএমইএ’র সঙ্গে চুক্তি করে আরো তিন বছর সময় বাড়িয়ে নেন। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল গার্মেন্টস ওয়াকার্স এমপ্লয়ীজ লীগের পক্ষে সভাপতি লিমা ফেরদৌস রিট আবেদন করেন। ওই বছরের ১৫ অক্টোবর রিটের শুনানি নিয়ে সময় তিন বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

এরপর এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে অ্যাকর্ড। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। এই স্থগিতাদেশ নিয়ে কাজ করছে অ্যাকর্ড।