নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
‘শ্রম অধিকারের অনুপস্থিতি ও কভিড-১৯ সময়কালীন বাংলাদেশী শ্রমিকদের দুর্দশা’ শীর্ষক শিরোনামে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের ইকোনমিকস স্টাডি সেন্টারের উদ্যোগে ‘তৃতীয় বাংলাদেশ ইকোনমিকস সামিট’-এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত ওই সভায় সেশন চেয়ার হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। আলোচক ছিলেন সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট রিসার্চের সিনিয়র ভিজিটিং ফেলো ড. রিজওয়ানুল ইসলাম, ব্র্যাকের হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস অ্যান্ড সোস্যাল কমপ্লায়েন্সের পরিচালক এসকে জেনেফা কে জব্বার, সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট রিসার্চের নির্বাহী চেয়ারপারসন ড. রুশিদান ইসলাম রহমান। এদিন বক্তারা শ্রম অধিকার ও ট্রেড ইউনিয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ড. রুশিদান ইসলাম রহমান বলেন, তৈরি পোশাক খাতের ওপর আমাদের অর্থনীতি নির্ভরশীল। কিন্তু আমাদের দেশে ৬-৮ শতাংশ শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নে যুক্ত। এর কারণ হচ্ছে শ্রমিকদের চাকরি হারানোর ভয়। তারা বেতন কম হলেও চাকরিতে ফিরতে আগ্রহী। তিনি আরো বলেন, শহরাঞ্চলের প্রায় দেড় কোটি মানুষ অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করত। এর মধ্যে অন্তত শতাংশও যদি কাজ হারায় তবে মোট বেকারত্বের হার ৭-৮ শতাংশ হবে। করোনার ফলে শহর থেকে বহু মানুষ গ্রামে চলে যাচ্ছে। এজন্য সরকারের কর্মসংস্থান প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী সরকার ক্রয় করে মজুদ করতে পারে।
ড. রিজওয়ানুল ইসলাম তার বক্তৃতায় অর্থনৈতিক অভিঘাত ও সমন্বয় পদ্ধতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, সামাজিক সুরক্ষার অভাবে অভিঘাতের মধ্যে মানুষ শহর থেকে গ্রামে চলে যায় যা গ্রামীণ অর্থনীতিতে চাপ তৈরি করে। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর শ্রম অধিকার ও ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও ধীরে ধীরে তাতে ভাটা পড়ে যায়। ট্রেড ইউনিয়নের সংখ্যা আশানুরূপ হারে বাড়েনি। শ্রম অধিকারে বাংলাদেশের অবস্থা খুবই নাজুক।