নিজস্ব প্রতিবেদক ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১১:১০
রাজধানীর মালিবাগের ড্রাগন গ্রুপের একাধিক কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই ও পাওনা ইস্যু নিয়ে দুই বছর ধরে অসন্তোষ চলে আসছে। সর্বশেষ গত সোমবারও রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন শ্রমিকরা। এবার দাবি আদায়ে ভিন্ন পথে হাঁটছে শ্রমিক অধিকার সংগঠনগুলো।
ড্রাগনের আন্তর্জাতিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের দোকানের সামনে ইউরোপের একাধিক দেশে মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন শ্রমিক অধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা। শ্রমিক ছাঁটাই ও পাওনা না দেওয়ার অভিযোগ তুলে জার্মানির হামবুর্গ ছাড়াও একাধিক শহর, আয়ারল্যান্ড, স্পেন ও ব্রাজিলেও তাঁরা জড়ো হওয়ার খবর শোনা গেছে।
জানা গেছে, নিউইয়র্কার, ওয়ালমার্ট, লিডলের মতো ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করে ড্রাগনের কারখানাগুলো। এসব ব্র্যান্ডের খুচরা দোকানের সামনে জড়ো হয়ে বিভিন্ন দেশের শ্রমিক প্রতিনিধিরা এই প্রতিষ্ঠানের কারখানাগুলোর ‘অবৈধ শ্রমিক ছাঁটাই’ বন্ধ করা ও পাওনা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন।
দেশে ড্রাগনের শ্রমিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। সংগঠনটি ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ইউনিয়নসের আওতাভুক্ত। জানা গেছে, এই সংগঠন থেকেই মূলত ড্রাগনের শ্রমিকদের পাওনা আদায় ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যোগাযোগ বাড়ানো হয়। গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর মইন বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়েছি আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে বলতে, যাতে বায়ারকে চাপ দেয়। এর পর কিছুদিন ধরে জার্মানি, আয়ারল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তারা ব্র্যান্ডগুলোর খুচরা দোকানের সামনে দাঁড়িয়েছে।’
এদিকে দেশের শ্রমিকদের পাওনাসংক্রান্ত ইস্যু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে টেনে নেওয়ার বিষয়টি নিয়েও নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এতে ব্র্যান্ডদের পাশাপাশি সার্বিকভাবে দেশের গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানিকারকদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মঞ্জুর মইন বলেন, ‘শ্রমিক পাওনা না পেলে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা কেন বলছে না, এ জন্য তারাও দায়ী। কারণ এখানে শ্রমিক বঞ্চিত হওয়ার সুবিধা নিচ্ছে ব্র্যান্ডগুলো।’
গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, ‘কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন (ডিআইএফই) কর্মকর্তারা আগামীকাল (আজ বুধবার) ইস্যুটি সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দেওয়ার পর আমরা কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করেছি।’