বাণিজ্য ডেস্ক ১১ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০
দ্রুততম সময়ের মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য তাগাদা দিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত জাতীয় উদ্যোগের আওতাধীন ৩২৩টি পোশাক কারখানার মালিকপক্ষের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়সভায় দ্রুত সংস্কারকাজ সম্পন্ন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
দুই দিন অনুষ্ঠিত সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বিভিন্ন কারখানাকে সংস্কারকাজ সম্পন্ন করার জন্য কয়েক সপ্তাহের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংস্কারকাজ সম্পন্ন না করলে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ও বিজিএমইর পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার ব্যাপারে মালিকপক্ষকে সতর্ক বার্তা প্রদান করা হয়।
বুধবার অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম বলেন, সরকার কখনোই কোনো কারখানা বন্ধ করতে চায় না। যত বেশি কারখানা ব্যবসায় টিকে থাকতে পারবে তত বেশি দেশের ও সরকারের লাভ। কিন্তু কারখানাগুলো অবশ্যই পরিবেশবান্ধব হতে হবে। কারখানায় শ্রমিকের সেফটি, স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। এসব বিষয়ে যত প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা দরকার আমরা সেটা দিতে প্রস্তুত। তবে কারখানার সেফটির ক্ষেত্রে আমরা কোনো প্রকার বিচ্যুতি সহ্য করব না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কারখানার ত্রুটিগুলো সংস্কার না করলে কারখানায় সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে কঠোর হওয়া ছাড়া আমাদের উপায় থাকবে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় বলেন, সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য ত্রুটিপূর্ণ কারখানার মালিকপক্ষকে বারবার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও কারখানা সংস্কারকাজ সম্পন্ন করছেন না। এখন আপনাদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার আগে আমরা মনে করেছি আপনাদের সঙ্গে আলোচনায় বসা দরকার। জানা দরকার আমাদের পক্ষ থেকে কোনো দুর্বলতা আছে কি না, অথবা আপনারা কোনো সমস্যায় আছেন কি না, সমস্যা থাকলে কিভাবে সমাধান করা যায়? নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংস্কার কার্যক্রম শতভাগ নিশ্চিত না হলে কারখানাকে লাইসেন্স প্রদান করা সম্ভব হবে না বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ত্রুটিপূর্ণ কারখানাগুলোকে আমরা তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছি। আগামী ১২, ১৫ ও ১৯ অক্টোবর কারখানাগুলোর মালিকপক্ষের শুনানি গ্রহণ করব। শুনানির পর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে সুপারিশ পাঠানো হবে। পরে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মতবিনিময়সভায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি কায়েস জামান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. জয়নাল আবেদীন, আরসিসির প্রকল্প পরিচালক এ কে এম সালেহউদ্দিনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।