নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০০ এএম আপডেট: ২৮.০৪.২০১৯ ১১:১৮ পিএম
তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের হয়রানি বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রমিক নেতারা। এজন্য তারা তথ্যভান্ডারের অপব্যবহার করছে। আন্দোলনে জড়িতদের তথ্যভান্ডারের মাধ্যমে বø্যাক লিস্ট করে তাদের বেকার করে দেওয়া হচ্ছেÑ তারা আর কোথাও চাকরি পাচ্ছে না। এরই মধ্যে ১১ হাজার শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ৩ হাজারেরও বেশি শ্রমিকের বিরুদ্ধে ৩৫টি মামলা করা হয়েছে। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ
সম্মেলনে শ্রমিক নেতারা এ কথা বলেন। ‘শোভন কাজ এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস।
সংবাদ সম্মেলনে বিলসের উদ্যোগে জাতীয় পর্যায়ের সংবাদপত্রগুলোয় ২০১৮ সালে প্রকাশিত শোভন কাজ, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ও সহিংসতায় শ্রমিক হতাহতের সংবাদভিত্তিক সমীক্ষা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিলসের যুগ্ম মহাসচিব ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান। সভাপতিত্ব করেন বিলসের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ শুক্কুর মাহমুদ। অন্য শ্রমিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমিরুল হক আমিন, নইমুল আহসান জুয়েল, মো. কবির হোসেন, তৌহিদুর রহমান ও আবদুল ওয়াহেদ।
লিখিত বক্তব্যে পোশাক শিল্পকে বাংলাদেশের রফতানি আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, এই শিল্প দেশের জিডিপিতে শতকরা ১৮ ভাগ অবদান রাখে এবং গত বছর রফতানি আয়ের মধ্যে ৮৩ দশমিক ৪৯ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে। সুতরাং এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে এবং টেকসই উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে শ্রমিকদের বাঁচার মতো মজুরি, জীবনধারণের পরিবেশ, নিরাপদ কর্মক্ষেত্র ও পরিবেশ, শ্রমিকের মর্যাদা ও শোভন কাজ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গার্মেন্টের সাব-কন্ট্রাক্ট কারখানার শ্রমিকরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করে। অনেক কারখানার অবকাঠামোগত পরিবর্তন হলেও ভেতরের কাজের পরিবেশের পরিবর্তন অনেকাংশে অপরিবর্তনীয়। এই খাতের ২২ শতাংশ নারী শ্রমিককে এখনও শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য শ্রম আইন সংশোধন হলেও এতে শ্রমিক স্বার্থের যথাযথ প্রতিফলন ঘটেনি উল্লেখ করে বলা হয়, ইপিজেডের জন্য এক আইন; আবার ইপিজেডের বাইরে আরেক আইন। একই দেশে দুটি শ্রম আইন থাকা সমীচীন নয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা তৈরি পোশাক শিল্পের ট্রেড ইউনিয়নের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। এ ছাড়া পোশাক শ্রমিকদের যে ডাটাবেজ করা হয়েছে তা বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ’র আওতায় না রেখে সরকারের অধীনে রাখার দাবি জানানো হয়।
বিলসের সংবাদপত্র জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে তৈরি পোশাক শিল্পে দুর্ঘটনায় তিনজন শ্রমিক নিহত ও ১৮ জন আহত হয়। দুর্ঘটনার পরিমাণ কমলেও ২০১৮ সালে এ খাতের শ্রমিকদের ওপর সহিংসতার পরিমাণ বেড়েছে, যা সংখ্যায় মোট ১১০টি, যার মধ্যে ২৬টি নির্যাতন, ২১টি হত্যা, ১১টি ধর্ষণ ও ৯টি গণধর্ষণের মতো ঘটনা রয়েছে। এ ছাড়া ২০১৮ সালে শুধু পোশাক শিল্প খাতে ১২৩টি শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটে এবং এতে সংঘর্ষে আহত হয় ২৯৮ জন শ্রমিক। শুধু বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতেই ৫৪টি শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও শ্রমিক মৃত্যু, বিনা নোটিসে কারখানা বন্ধ, কারখানা পুনরায় চালু, ন্যায্য মজুরি ও শ্রম অধিকার আদায় করার দাবিতেও শ্রম অসন্তোষ দেখা দেয়।
সম্মেলনে শ্রমিক নেতারা এ কথা বলেন। ‘শোভন কাজ এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস।
সংবাদ সম্মেলনে বিলসের উদ্যোগে জাতীয় পর্যায়ের সংবাদপত্রগুলোয় ২০১৮ সালে প্রকাশিত শোভন কাজ, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ও সহিংসতায় শ্রমিক হতাহতের সংবাদভিত্তিক সমীক্ষা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিলসের যুগ্ম মহাসচিব ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান। সভাপতিত্ব করেন বিলসের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ শুক্কুর মাহমুদ। অন্য শ্রমিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমিরুল হক আমিন, নইমুল আহসান জুয়েল, মো. কবির হোসেন, তৌহিদুর রহমান ও আবদুল ওয়াহেদ।
লিখিত বক্তব্যে পোশাক শিল্পকে বাংলাদেশের রফতানি আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, এই শিল্প দেশের জিডিপিতে শতকরা ১৮ ভাগ অবদান রাখে এবং গত বছর রফতানি আয়ের মধ্যে ৮৩ দশমিক ৪৯ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে। সুতরাং এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে এবং টেকসই উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে শ্রমিকদের বাঁচার মতো মজুরি, জীবনধারণের পরিবেশ, নিরাপদ কর্মক্ষেত্র ও পরিবেশ, শ্রমিকের মর্যাদা ও শোভন কাজ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গার্মেন্টের সাব-কন্ট্রাক্ট কারখানার শ্রমিকরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করে। অনেক কারখানার অবকাঠামোগত পরিবর্তন হলেও ভেতরের কাজের পরিবেশের পরিবর্তন অনেকাংশে অপরিবর্তনীয়। এই খাতের ২২ শতাংশ নারী শ্রমিককে এখনও শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য শ্রম আইন সংশোধন হলেও এতে শ্রমিক স্বার্থের যথাযথ প্রতিফলন ঘটেনি উল্লেখ করে বলা হয়, ইপিজেডের জন্য এক আইন; আবার ইপিজেডের বাইরে আরেক আইন। একই দেশে দুটি শ্রম আইন থাকা সমীচীন নয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা তৈরি পোশাক শিল্পের ট্রেড ইউনিয়নের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। এ ছাড়া পোশাক শ্রমিকদের যে ডাটাবেজ করা হয়েছে তা বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ’র আওতায় না রেখে সরকারের অধীনে রাখার দাবি জানানো হয়।
বিলসের সংবাদপত্র জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে তৈরি পোশাক শিল্পে দুর্ঘটনায় তিনজন শ্রমিক নিহত ও ১৮ জন আহত হয়। দুর্ঘটনার পরিমাণ কমলেও ২০১৮ সালে এ খাতের শ্রমিকদের ওপর সহিংসতার পরিমাণ বেড়েছে, যা সংখ্যায় মোট ১১০টি, যার মধ্যে ২৬টি নির্যাতন, ২১টি হত্যা, ১১টি ধর্ষণ ও ৯টি গণধর্ষণের মতো ঘটনা রয়েছে। এ ছাড়া ২০১৮ সালে শুধু পোশাক শিল্প খাতে ১২৩টি শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটে এবং এতে সংঘর্ষে আহত হয় ২৯৮ জন শ্রমিক। শুধু বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতেই ৫৪টি শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও শ্রমিক মৃত্যু, বিনা নোটিসে কারখানা বন্ধ, কারখানা পুনরায় চালু, ন্যায্য মজুরি ও শ্রম অধিকার আদায় করার দাবিতেও শ্রম অসন্তোষ দেখা দেয়।